নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় নির্মিত শহীদ মিনারটি এখন অবৈধ গাড়ীর পাকিং। প্রশাসনের নজরদারী ও জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালীর কারণে শহীদ মিনারটিতে শুধু গাড়ী পাকিংই নয় এটি এখন অস্থায়ী প্রস্রাব খানায়ও রূপ নিয়েছে। শহীদদের স্মরনে নির্মিত শহীদ মিনারটি অবহেলায় একদিকে যেমন শহীদদের অসম্মান করা হচ্ছে অপরদিকে হেয় করা হচ্ছে বাংলাদেশের মাতৃভাষাকেও।তাই শহীদ মিনারটিতে দ্রুত নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মান করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর অনুরোধ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রী ও গাড়ীর নিরাপত্তার জন্য গত ২ দশক আগে কাঁচপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের জন্য একটি থানা নির্মান করা হয়। থানাটি নির্মান করার পর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের সম্মান জানানতে ফাঁড়ির পাশে একটি শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। প্রথম দিকে শহীদ মিনারটিকে এলাকাবাসী সম্মান জানিয়ে এটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলেও পরবর্তিতে হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়ির চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মান করার পর শহীদ মিনারটিতে শুরু হয় পাবলিক ও মাদক ব্যবসায়ী ও পাগলদের আনাগোনা। পরবর্তিতে শহীদ মিনারটিতে তৈরী করা অস্থায়ী বেষ্টনী ধীরে ধীরে ভেঙ্গে এটি উম্মুক্ত হতে থাকে। এসময় পথচারীরা বাথরুমের অভাবে শহীদ মিনারের পিছনে আড়ালে গিয়ে প্রস্রাব করা শুরু করে। বর্তমানে এটির এমনই নাজুক অবস্থা যে শহীদ মিনারটির বেষ্টুনী এখন অবৈধ সিএনজি ও গাড়ীর অস্থায়ী পাকিং নির্মান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনারটি অবহেলায় পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তারা দ্রুত শহীদ মিনারটিতে স্থায়ী বেষ্টুনী তৈরী করে শহীদ মিনারের সম্মান রক্ষার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের নিকট।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, আমি কিছুদিন হলো এ থানায় যোগদান করেছি। শহীদ মিনারটি এভাবে অবহেলায় অযত্মে পড়ে আছে দেখে আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। ভাষা শহীদদের সস্মানে নির্মিত এ শহীদ মিনারটি রক্ষায় আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছি। খুব শ্রীঘই শহীদ মিনারটির চারপাশে অবৈধ পাকিং ও স্থাপনা সরিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টুনী তৈরী করে দিব।